ডায়বেটিস, জীবনযাত্রার এক নতুন মোড় | Healthylife

ডায়বেটিস, জীবনযাত্রার এক নতুন মোড় 

ডায়বেটিস, জীবনযাত্রার এক নতুন মোড় | Healthylife
ডায়াবেটিস 
ডায়বেটিস মেলিটাস, যা সাধারণত ডায়বেটিস নামে পরিচিত। এটি একটি মেটাবলিক রোগ যা রক্তে উচ্চ গ্লুকোজের মাত্রা বোঝায়। ডায়বেটিস হয় ইনসুলিন উৎপাদনের অভাবে, ইনসুলিন শরীরে ঠিকমত কাজ না করলে, অথবা উভয়ের সমন্বয়ে ঘটে। বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪২২ মিলিয়ন মানুষ ডায়বেটিসে আক্রান্ত, যা তাদের জীবনযাত্রায় গভীর প্রভাব ফেলে দেয়।

ডায়বেটিসের লক্ষণ

ডায়বেটিসের বিভিন্ন লক্ষণ আছে, যা প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ। ডায়বেটিসের কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো:

1. বেশি বেশি পিপাসা লাগা: সবসময় পিপাসা লাগা এবং বেশি পানি পান করার প্রবণতা থাকা।

2. প্রচুর মূত্রত্যাগ: ঘন ঘন প্রস্রাবের প্রয়োজন হওয়া।

3.  ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া: ডায়বেটিস হলে অতিরিক্ত ক্ষুধা অনুভব হয়।

4. দ্রুত ওজন কমে যাওয়া: কোনো কারণ ছাড়াই ওজন হ্রাস পেতে থাকে।

5. শরীরের ক্লান্তি: সবসময় দুর্বল ও ক্লান্ত অনুভব করা।

6. দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হওয়া: দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়া বা অস্পষ্ট দেখা।

7. আঘাত বা ক্ষত ধীরে সেরে যাওয়া: ছোটোখাটো আঘাত বা ক্ষত সারতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়।

8. চামড়ার সমস্যা: ত্বকে খোসপাঁচড়া বা সংক্রমণের সমস্যা হতে দেখা যায়।

9. হাত-পায়ের ঝিঁঝিঁ বা অসাড়তা: বিশেষ করে হাত ও পায়ের মধ্যে ঝিঁঝিঁ বা অসাড় অনুভূতি।

10. প্রজনন সমস্যা: পুরুষদের ক্ষেত্রে যৌন ক্ষমতা হ্রাস এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাবের সমস্যা পরিলক্ষিত হয়।

ডায়বেটিসের প্রকারভেদ

ডায়বেটিস মেলিটাস ২ টাইপের হয়।

টাইপ ১ ডায়বেটিস: 

এটি সাধারণত শৈশব অথবা কৈশোরে শুরু হয় এবং এটি অটোইমিউন রোগ। এই অবস্থায়, শরীরের প্রতিরক্ষা সিস্টেম ভুল করে ইনসুলিন-উৎপাদনকারী কোষগুলিকে আক্রমণ করে।

টাইপ ২ ডায়বেটিস: 

এই টাইপই বেশী দেখা যায় এবং সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে দেখা যায়। এই অবস্থায়, শরীর ইনসুলিন উৎপাদন করে কিন্তু কোষগুলি ইনসুলিনের প্রতি সাড়া দেয় না।

গর্ভকালীন ডায়বেটিস
গর্ভকালীন ডায়বেটিস

গর্ভকালীন ডায়বেটিস: 

এই প্রকারের ডায়বেটিস গর্ভাবস্থায় মহিলাদের মধ্যে ঘটে এবং সাধারণত শিশু জন্মানোর পর নিরাময় হয়। তবে যাদের গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকে তাদের শিশু জন্মের পর ডায়বেটিস ভাল হলেও পরবর্তীতে তাদের ডায়বেটিস হওয়ার হার অনেক বেশি।

ডায়বেটিসের ঝুঁকির কারন এবং প্রতিরোধ

ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ায় এমন কিছু কারণ হলো অতিরিক্ত ওজন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক অনুশীলনের অভাব এবং পারিবারিক ইতিহাস। ডায়বেটিস প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় এবং দূশ্চিতামুক্ত থাকা জরুরি।

ডায়বেটিসের চিকিৎসা

ডায়বেটিসের চিকিৎসা রোগীর প্রকারের উপর নির্ভর করে। টাইপ ১ ডায়বেটিসের ক্ষেত্রে, ইনসুলিন থেরাপি প্রয়োজন। টাইপ ২ ডায়বেটিসের জন্য, ওরাল মেডিকেশন, ইনসুলিন থেরাপি, এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন প্রয়োজন হতে পারে।

ডায়বেটিস এবং জীবনযাত্রা

ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, এবং নিয়মিত চিকিৎসা পরিদর্শন অপরিহার্য।সচেতন এবং সক্রিয় জীবনযাত্রা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং এর জটিলতাগুলি এড়াতে সাহায্য করে। একটি ভালো ডায়েট প্ল্যান এবং নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা ডায়বেটিস পরিচালনায় অপরিহার্য।

ডায়বেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকা

ডায়বেটিস রোগীদের জন্য খাদ্য তালিকা বা সঠিক ডায়েট প্ল্যান অত্যন্ত জরুরি। একটি স্বাস্থ্যকর ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত:

প্রচুর ফল এবং সবজি

সম্পূর্ণ শস্য যেমন বাদামী চাল এবং আটা

সীমিত পরিমাণে লাল মাংস এবং উচ্চ চর্বি যুক্ত খাবার

পরিমিত পরিমাণে ডেইরি পণ্য

চিনি এবং রিফাইনড কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমানো উচিত। এছাড়াও, নিয়মিত খাবারের সময় এবং পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

ডায়বেটিস রোগীর যেসব খাবার খাওয়া উচিত তার তালিকা:

শাকসবজি: ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রোকোলি, পালং শাক, লাউ, বেগুন, সজনে ডাটা, কচু শাক, মটরশুঁটি

ফলমূল: স্ট্রবেরী, পেয়ারা, আমরা, সবরিকলা, বড়ই, জাম, আমলকী, সবুজ আপেল

স্টার্চ সমৃদ্ধ খাবার: বাদামী চলের ভাত, আটার রুটি

প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: মাছ, মাংস, ডিম, বাদাম, সিমের বিচি, ডাল।

দুগ্ধজাতীয় খাবার: দুধ, পনির, দই।

এভোক্যাডো, চিয়া বীজ, টক দই, গ্রীন টি, ইসবগুল ইত্যাদি।

ডায়বেটিস রোগীদের জন্য নিষিদ্ধ খাবারের তালিকা:

পরিশোধিত দানাদার খাবার যেমন: পরিশোধিত আটা, চাল।

চিনি মিশ্রিত সকল কোমলপানীয়।

ভাজা পোড়া খাবার।

এলকোহল।

চকলেট ক্যান্ডি, মিষ্টি, মিষ্টি বিস্কুট, আনারস, অতি মিষ্টি আম,

প্রসেস করা মাংস যেমন: বেকন, হট ডগ ইত্যাদি।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ডায়বেটিস রোগীদের জন্য খাদ্য তালিকা প্রস্তুত করার সময় স্থানীয় খাবার এবং পুষ্টির বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। ওজন ভেদে খাবারের পরিমান কমবেশি হবে। ডায়বেটিস রোগীরা একেবারে বেশি খাবার খাবেন না তবে অল্প করে বার বার খেতে পারবে। তাই সাধারন মানুষের জায়গায় ডায়বেটিস রোগীরা দৈনিক ৫ বার খাবার খাবেন। 

এখানে দিনে ৫ বারের একটি খাবারের নমুনা দেওয়া হলো:

সকাল:

1. ভাতের মাড়: একটু লবণ দিয়ে পান করতে পারেন। 

2. ডিম: সেদ্ধ ডিম বা অল্প তেলে ভাজা ডিম।

3. ওটমিল বা চাপাতি: অল্প মসলা দিয়ে তৈরি ওটমিল বা আটার চাপাতি সঙ্গে সবজি।

4. ফল: আপেল, পেয়ারা বা কমলার মতো তাজা ফল।

 মধ্যাহ্ন:

1. শসা ও গাজরের সালাদ: টমেটো, শসা, গাজর ও অন্যান্য সবজি দিয়ে সালাদ।

2. ফল: পেয়ারা, আমড়া, বা জাম্বুরা।

দুপুর:

1. লাল চালের ভাত: সাদা চালের বদলে লাল চালের ভাত।

2. ডাল: মসুর ডাল, মুগ ডাল বা ছোলার ডাল।

3. মাছ: তেল ছাড়া রান্না করা মাছ, যেমন ইলিশ, রুই বা কাতলা।

4. সবজি: শাকসবজি যেমন পুই শাক, পালং শাক, ঢেঁড়স, ঝিঙে।

5. দই: লো-ফ্যাট বা ফ্যাট-ফ্রি দই।

বিকেল:

1. বাদাম: কাজু, আমন্ড, বা আখরোট।

2. ফল: পেয়ারা, পেঁপে, কলা (কম পরিমাণে)।

3. চা: চিনি ছাড়া লেবুর রস দিয়ে সবুজ চা।

রাত:

1. **সবজি ও মুরগি বা মাছের ঝোল**: সবজি ও অল্প মশলা দিয়ে রান্না করা মুরগি বা মাছের ঝোল।

2. **রুটি বা চাপাতি**: আটার রুটি বা চাপাতি সঙ্গে সবজি।

ডায়বেটিস থেকে মুক্তির উপায়

ডায়বেটিস থেকে সম্পূর্ণ মুক্তির কোনো উপায় এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। তবে, ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা ও সুস্থ জীবনযাপনের জন্য কিছু কার্যকর পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়:

 জীবনধারা পরিবর্তন:

ডায়াবেটিসে সুষম খাবারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ
সুষম খাদ্য 

1. সুষম খাদ্যাভ্যাস: স্বাস্থ্যকর, সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন যা চিনিমুক্ত এবং কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত। আঁশযুক্ত খাবার বেশি করে খান।

ডায়বেটিস রোগীর জন্য হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা বা সাইকেল চালানো অনেক উপকারী

2. নিয়মিত ব্যায়াম: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট শারীরিক ব্যায়াম করুন, যেমন হাঁটা, দৌড়ানো, সাঁতার কাটা বা সাইকেল চালানো।

3. ওজন নিয়ন্ত্রণ: স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত ওজন ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। আপনার BMI স্বাস্থ্যকর অবস্থায় আছে কিনা তা খেয়াল রাখুন।

4. ধূমপান এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা: ধূমপান এবং অ্যালকোহল গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।

5. পর্যাপ্ত ঘুম: নিয়মিত এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন, কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা:

Glucometer, ডায়াবেটিস মাপার যন্ত্র
Glucometer

1. রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা: নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন। এজন্য আপনি একটি Glucometer কিনে ফেলুন এবং আপনার শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করে চার্ট করে রাখুন। সেই চার্ট আপনার চিকিৎসকে দেখান।

2. নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ: নিয়মিত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ রাখুন। আপনার শর্করার চার্ট চিকিৎসকে দেখান এবং তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করুন।

চিকিৎসা:

1. মেডিকেশন: প্রয়োজনে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ গ্রহণ করুন। চিকিৎসকের পরামর্শমত ইনসুলিন বা অন্যান্য ওষুধ ব্যবহার করুন।

ডায়বেটিস রোগীর ইনসুলিন দেয়া

2. ইনসুলিন থেরাপি: টাইপ ১ ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ইনসুলিন থেরাপি প্রয়োজন হতে পারে।

ডায়বেটিস এবং মানসিক স্বাস্থ্য

ডায়বেটিস রোগীদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত। ডায়বেটিস ম্যানেজমেন্টের চাপ এবং চিন্তা অনেক সময় অবসাদ এবং উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে। নিয়মিত মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং প্রয়োজনে মনোবিজ্ঞানীর সাথে পরামর্শ গ্রহণ করা জরুরি।

ডায়বেটিস এবং সামাজিক সমর্থন

ডায়বেটিস রোগীদের জন্য সামাজিক সমর্থন অত্যন্ত জরুরি। পরিবার, বন্ধু, এবং সামাজিক গ্রুপের সমর্থন রোগীদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং ডায়বেটিস ম্যানেজমেন্টে সাহায্য করে।

ডায়বেটিস একটি জীবনযাত্রার পরিবর্তন আনে, কিন্তু সঠিক পরিচালনা এবং সমর্থনের মাধ্যমে একটি পূর্ণ এবং সুখী জীবন যাপন সম্ভব।

ডায়বেটিসের ঘরোয়া চিকিৎসা

ভেষজ উপাদান:

কালো জামের বিচির গুড়া ডায়বেটিস রোগীর জন্য উপকারী
জামের বীচি

জামের বীচি (Eugenia jambolana): জামের বীচির ব্যবহার ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে বেশ পরিচিত। এটি অভুক্ত অবস্থায় খেলে ডায়বেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়1।

ডায়বেটিস রোগীর জন্য কারি পাতা
কারি পাতা

কারি পাতা: সকালে তাজা কারি পাতা খেলে তা ডায়বেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়।

ডায়বেটিস রোগীর জন্য আমলকী ও করলা
আমলকী ও করলা

আমলকী: করলার সাথে আমলকীর রস মিশিয়ে খেলে তা ইনসুলিনের প্রাকৃতিক উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে।

ডায়বেটিস রোগীর জন্য ইসবগুল
ইসবগুল 

ইসবগুল: এটি ক্ষুদ্রান্তে চিনি শোষণে বাধা দিয়ে রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে। কোষ্ঠকাঠিন্য রোগেও ইনবগুলের ভাল ভূমিকা রয়েছে।

যোগব্যায়াম:

ডায়বেটিস রোগীর জন্য যোগব্যায়াম
যোগব্যয়াম
যোগব্যায়াম ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে এবং প্রতিরোধে অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত যোগব্যায়াম শরীরের ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায় এবং রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা হাঁটাচলা এবং নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলতে পরামর্শ দেন। যোগাসন যেমন কপালভাতি, অনুলোম বিলোম, ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে বিশেষ উপকারী।

এই ভেষজ উপাদান এবং যোগব্যায়াম ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করলেও, এগুলি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা উচিত নয়। সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করা এবং নিয়মিত ফলোআপ জরুরি।

সমাপনী কথা 

ডায়বেটিস চিরতরে নিরাময় হবে? না, ডায়বেটিস চিরতরে নিরাময় হওয়ার এখনো কোন স্বীকৃত পদ্ধতি নেই। ডায়বেটিস সারা জীবনের একটি রোগ। তাই এটিকে জীবনব্যাপী চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিতে হবে। তবে সচেতনতা, সঠিক চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার মাধ্যমে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করে ডায়বেটিস কে সফলভাবে ম্যানেজ করা যায়। আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্বাস্থ্যের জন্য সঠিক জ্ঞান অর্জন করুন, এবং ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে আত্মবিশ্বাসী থাকুন। সচেতন হোন, সুস্থ থাকুন!

Thank you from-


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.