গরুর মাংস আপনি খাবেন কি খাবেন না! | healthylife
গরুর মাংস খাওয়ার প্রচুর উপকারিতা আছে। এটি চমৎকার স্বাদ এবং রান্নাঘরে একটি বহুমুখী পছন্দ। কিন্তু সবাই উপলব্ধি করে না যে এটি একটি স্বাস্থ্যকর, ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
গরুর মাংস আপনি খাবেন, কারনঃ
১) গরুর মাংস স্বাভাবিকভাবেই প্রোটিনসমৃদ্ধ, যা পেশী গঠনে ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।২) গরুর মাংস আয়রন এবং চারটি প্রয়োজনীয়
ভিটামিন সরবরাহ করে - নিয়াসিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন বি৬ এবং বি১২ - যা
ক্লান্তি এবং অবসাদ কমাতে সাহায্য করে।
৩) গরুর মাংসের আটটি প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ যা
সুস্বাস্থ্য এবং সুস্থ শরীরের
জন্য দরকারি।
৪) গরুর মাংসে প্রচুর জিঙ্ক থাকে। জিঙ্ক স্বাভাবিক চুল, নখ এবং ত্বকের জন্য জরুরী।
৪) গরুর মাংসে প্রচুর জিঙ্ক থাকে। জিঙ্ক স্বাভাবিক চুল, নখ এবং ত্বকের জন্য জরুরী।
৫) এছাড়াও জিঙ্ক স্বাভাবিক cognitive function বজায় রাখতে সাহায্য
করে। (cognitive function হল মানসিক প্রক্রিয়া যা আমাদের কোনও কাজ সম্পাদন করতে দেয়)। গরুর মাংসে থাকা
জিঙ্ক উর্বরতা এবং
প্রজনন ক্ষমতায় অবদান রাখে, রক্তে টেস্টোস্টেরন
হরমোনের স্বাভাবিক মাত্রা
বজায় রাখে।
৬) গরুর মাংস আয়রনের
একটি উৎস যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় সাহায্য করে। আয়রন রক্তসল্পতা প্রতিরোধ করে।(আয়রন ঘাটতিজনিত রক্তসল্পতা)।
৭)গরুর মাংস L-carnitine এর একটি
বৃহৎ উৎস। L-carnitine
একটি অ্যামাইনো এসিড যা মাংস পণ্যে প্রাকৃতিকভাবে থাকে। L-carnitine আমাদের জন্য
গুরুত্বপূর্ণ কারণ L-carnitine চর্বি বিপাক একটি ভূমিকা পালন করে।
৮) গরুর
মাংস সাধারণভাবে 'মাস্টার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট' নামে পরিচিত Glutathione সরবরাহ করে।
'মাস্টার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট' Glutathione এর উপকারিতাঃ
-বার্ধক্য
রোধে সুফল
-দীর্ঘায়ু বৃদ্ধি
-অসুস্থতা প্রতিরোধ
-দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমানো
-রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা।
-এটা আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষকে নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে, যা অনেক দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণ হতে পারে।
-দীর্ঘায়ু বৃদ্ধি
-অসুস্থতা প্রতিরোধ
-দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমানো
-রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা।
-এটা আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষকে নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে, যা অনেক দীর্ঘস্থায়ী রোগের কারণ হতে পারে।
গরুর মাংস আপনি খাবেন না, কারনঃ
গরুর মাংস খাওয়ার উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি গরুর মাংস খাওয়ার অপকারিতাও আছে।
১) ঘুমভাব এবং মাথা ঘোরা: অতিরিক্ত গরুর মাংস
খাওয়া ক্লান্তি এবং মস্তিষ্কের দ্রুত কর্মক্ষমতা হ্রাস করতে পারে। জ্বালানী (প্রোটিন)
আপনার মস্তিষ্কে পৌঁছাতে একটু সময় লাগে, তাই আপনি অমনোযোগী হতে পারেন।
২) চুল এবং ত্বকে পরিবর্তনঃ কোলাজেন গঠনে ভিটামিন
সি মূল ভূমিকা পালন করে, এটি এমন একটি প্রোটিন যা ত্বক, চুল, নখ, হাড় এবং আরও অনেক
কিছু গঠন করে। গরুর মাংস বা অন্যান্য প্রাণীজ আমিষের মধ্যে ভিটামিন সি পাওয়া খুবই বিরল। আপনার ত্বক রুক্ষ এবং খসখসে হতে পারে। আপনি হয়ত শরীরে চুলের ভাল বৃদ্ধি দেখতে পারেন।
৩) কোষ্ঠকাঠিন্যঃ গরুর মাংসের মধ্যে কোন
ফাইবার থাকে না। সাধারণত, ফল, শাকসবজি, এবং শস্য থেকে ফাইবার পাওয়া যায়। আপনি কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন, পাইলস(Hemorroid),
এনাল ফিসার(Anal fissure) থাকে তবে আপনার গরুর মাংস খাওয়া উচিৎ
নয়।
৪) হৃদরোগঃ ফাইবারের আরেকটি
উপকারিতা হল কোলেস্টেরলের শোষণ বজায় রাখা যা আপনার হার্টকে রক্ষা করতে পারে।
সর্বোচ্চ স্যাচুরেটেড চর্বি সঙ্গে মাংস শরীরে 'খারাপ' কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করতে পারে
এবং হার্টের ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।
৫) কিডনিতে
পাথর হওয়ার ঝুঁকিঃ গরুর মাংসের মধ্যে
অতিরিক্ত প্রোটিন কিডনিকে প্রভাবিত করতে পারে কারণ মাংস থেকে পিউরিন যৌগ ইউরিক
এসিড গঠন করতে পারে যা কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে
পারে। তাছাড়া যাদের শরীরে Uric acid এর মাত্রা বেশি
তারা গরুর মাংস খাবেন না।
৬) ওজন বৃদ্ধিঃ ‘মাংস খেলে শরীরে মাংস বাড়ে’ একথা হয়ত আপনি
শুনে থাকবেন। আপনি যদি আপনার শরীরের
চাহিদার বেশি প্রোটিন খান, তখন আপনার বাড়তি প্রোটিন মাংস হয় না তা চর্বি হয়ে আপনার শরীরে
জমা থাকে। যদিও এটা সত্য যে শরীরের পেশী গড়ে তুলতে প্রোটিনের দরকার তবে
অতিরিক্ত নয়।
পরিশেষেঃ
গরুর মাংসের উপকারিতা ও গরুর মাংস খাওয়ার অপকারিতা এই দুই দিক বিবেচনা করলে খারাপ দিকের চেয়ে ভালোর দিকই বেশী। তবে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভাল নয়। পরিমিত খান। যাদের সমস্যা, তারা বাদ দিন।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন