ক্যান্সারের ১৭টি লক্ষণ জানা থাকলে দ্রুত রোগ নির্ণয়, দ্রুত চিকিৎসা
ক্যান্সার হলে মৃত্যু, ব্যাপারটা এখন আর তেমন নয়। অনেক ক্যান্সার নিরাময়যোগ্য। তবে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ক্যান্সার ছড়িয়ে পরলে তখন কিছু করার থাকে না। তবে শুরুতেই যদি ক্যান্সার নির্ণয় করা যায় তবে অনেক সফলতা পাওয়া যায়।
১)অবিরাম কাশি বা রক্তমিশ্রিত কফ বা লালা
অবিরাম কাশি সাধারন সংক্রমণ বা প্রদাহ যেমন ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, যক্ষ্মা ইত্যাদিতে হতে পারে। কোন কোন সময় কফ থুথুতে রক্তও দেখা দিতে পারে। কিন্তু অবিরাম কাশি এক মাসের বেশি হলে অথবা কফ বা লালাতে দীর্ঘদিন রক্ত দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এগুলো ফুসফুসের ক্যান্সার বা মাথা এবং ঘাড়ের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
২)মল ত্যাগে পরিবর্তন
মল ত্যাগের পরিবর্তন সাধারণত খাবার ও পানীয়ের উপর নির্ভর করে। ডাক্তাররা কখনও কখনও কোলন ক্যান্সার সঙ্গে পেন্সিল-পাতলা মল দেখেন। মাঝে মাঝে, ক্যান্সার অবিরাম ডায়রিয়া প্রদর্শন করে। ক্যান্সার আক্রান্ত কিছু মানুষ মনে করেন যে তাদের মল ত্যাগ ঠিকমত হচ্ছে না। মল ত্যাগের পর পরও তাদের মনে হয় ঠিকমত হয়নি। যদি এই অস্বাভাবিক ভাবটা অনেকদিন স্থায়ী হয়, তাহলে তা মাথায় রাখতে হবে।
৩)মল ও প্রস্রাবে রক্ত
মনে রাখতে হবে শরীর থেকে কোন রক্ত বের হওয়া সেটা যেভাবেই হোক তা মারাত্মক রোগের লক্ষণ (ঋতুস্রাব বাদে)। পাইলস, পলিপ, রক্ত-আমাশায় বিভিন্ন কারনে মলের সাথে রক্ত যেতে পারে। তবে এই রক্ত মলদ্বারের বা মলাশয়ের ক্যান্সার কি না তা ভাবতে হবে। মূত্রনালির সংক্রমণ,কিডনিতে পাথরের কারনে প্রসাবে রক্ত যেতে পারে। আবার কিডনি, মূত্রনালি, মূত্রথলি, প্রোস্টেট গ্রন্থিতে ক্যান্সার হলেও প্রসাবে রক্ত যায়।
৪)রক্তশূন্যতা (অজানা কারনে)
বিভিন্ন কারনে রক্তশূন্যতা হতে পারে। রক্তশূন্যতার কারন খুঁজে দেখতে হবে। ক্যান্সারে রক্তশূন্যতা হয়। মলাশয়ের ক্যানসারে আয়রন ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতা হয়।
৫)স্তনস্ফীতি বা স্তন স্রাব
৬)অণ্ডকোষ ফুলে যাওয়া
৭)প্রস্রাব করাতে পরিবর্তন
৮)ফেঁসফেঁসে কণ্ঠস্বর
৯)অনেকদিন ধরে শরীরের কোথাও ফোলা বা ফোলা কোন গ্রন্থি
শরীরের কোথাও ফোলা বা ফোলা কোন গ্রন্থি যদি এক মাসের বেশি সময় হয় তাহলে তা গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে।
১০)একটি ওয়ার্ট বা মোলের মধ্যে সুস্পষ্ট পরিবর্তন
বহুরঙা মোল যেগুলি অনিয়মিত প্রান্তযুক্ত বা যেগুলি থেকে রক্তপাত হয় তারা ক্যান্সার হতে পারে।বড় মোল আরো উদ্বেগজনক, বিশেষ করে যদি তারা বর্ধিত হয় বলে মনে হয়।
১১)গিলতে অসুবিধা
'Barrett esophagus' খাদ্যনালীর একটি অবস্থা, যা থেকে খাদ্যনালীর ক্যান্সার হতে পারে, এটি ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে এবং তারপর একজন ডাক্তার দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা যেতে পারে।
১২)অস্বাভাবিক যোনির রক্তস্রাব
যোনির রক্তপাত বা রক্তাক্ত স্রাব জরায়ুর ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। যৌনমিলনের পর বা পিরিয়ডের মধ্যে রক্তপাত হলে মহিলাদের বিষয়টি মূল্যায়ন করা উচিত।
১৩)অপ্রত্যাশিত ওজন হ্রাস, রাতে ঘাম বা জ্বর
অপ্রত্যাশিত ওজন হ্রাস, রাতে ঘাম বা জ্বর ক্যান্সারের কারনে হতে পারে(যক্ষ্মা রোগেও এই লক্ষণ থাকে)।
১৪)মলদ্বার বা যৌনাঙ্গ এলাকায় অব্যাহত চুলকানি
কোন ক্যান্সারের পূর্বের অবস্থায় বা ক্যান্সারে যৌনাঙ্গ বা মলদ্বারের ত্বকের ক্রমাগত চুলকানি হতে পারে।
১৫)অনিরাময় ক্ষত
ক্ষত সাধারণত দ্রুত সেরে ওঠে। যদি কোন ক্ষত দ্রুত না সাড়ে, তাহলে আপনার ক্যান্সার হতে পারে এবং একজন ডাক্তার দেখানো উচিত।
১৬)মাথা ব্যথা
মাথা ব্যথা কার না হয়! টেনশন, মাইগ্রেন সাইনুসাইটিস আরও অনেক কারনে মাথা ব্যথা হয়। তবে একটি তীব্র অবিরাম মাথাব্যথা যা স্বাভাবিক থেকে আলাদা তা ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
১৭)পিঠে ব্যথা, তলপেটে ব্যথা, ফোলা
এগুলো দৈনন্দিন জীবনের সাধারণ লক্ষণ। এ লক্ষণ ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারেও দেখা যায়।
৩টি মন্তব্য
Nicely written and presented topic,specially at this of the 21st century!
Right
Cancer sudu manus ti k noi, pura family k ses kore dei
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন