শীতে ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক? জানুন মা-নানী-দাদীদের বিশেষ সৌন্দর্য টিপস!

শীতে ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক? জানুন মা-নানী-দাদীদের বিশেষ সৌন্দর্য টিপস!

শীতে ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক? জানুন মা-নানী-দাদীদের বিশেষ সৌন্দর্য টিপস!

আমাদের মা-নানী-দাদীরা প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েই ত্বকের যত্ন নিতেন। বাজারচলতি প্রসাধনীর পরিবর্তে বেসন, মুসুর ডাল, মধু, দুধের সরের মতো উপাদান ব্যবহার করতেন তারা। আজও এই ঘরোয়া উপকরণগুলো ত্বকের যত্নে (Skin Care) দারুণ কার্যকরী। এগুলো নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল, নরম ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।

এই আর্টিকেলে আমরা জানাবো, কীভাবে ঘরোয়া উপায়ে প্রাকৃতিকভাবে সৌন্দর্য ধরে রাখা সম্ভব।

মধু দিয়ে রূপচর্চা

১. মধু: প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার

মধু হলো ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক হাইড্রেটর। এটি ত্বককে নরম ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন?

মুখ পরিষ্কার করে মধুর একটি পাতলা স্তর লাগান।

১৫-২০ মিনিট পর কুসুম গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করলে ত্বক থাকবে মসৃণ ও হাইড্রেটেড।

দুধের সর দিয়ে রূপচর্চা

২. দুধের সর: 

রোদে পোড়া দাগ দূর করতে উপকারী। দুধের সর ত্বকের কালচে দাগ কমাতে সাহায্য করে। এতে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড মৃত কোষ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

ব্যবহার পদ্ধতি:

দুধের সর সরাসরি ত্বকে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন।

শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

প্রতিদিন ব্যবহার করলে রোদে পোড়া দাগ দ্রুত হালকা হয়ে যাবে।

গোলাপজল, লেবু ও গ্লিসারিন দিয়ে রূপচর্চা

৩. গোলাপ জল, লেবু ও গ্লিসারিন: প্রাকৃতিক বিউটি সিরাম

এই মিশ্রণটি ত্বককে হাইড্রেটেড ও উজ্জ্বল রাখে। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি মুখের রঙ উজ্জ্বল করে, গ্লিসারিন ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে, আর গোলাপ জল পিএইচ ব্যালান্স বজায় রাখে।

ব্যবহার পদ্ধতি:

সমপরিমাণ গোলাপ জল ও গ্লিসারিন মিশিয়ে নিন।

এতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে বোতলে সংরক্ষণ করুন।

রাতে ঘুমানোর আগে মুখে লাগান।

সকালে ধুয়ে নিলেই ত্বক হবে উজ্জ্বল ও কোমল।

বেসন ও মসুর ডাল নিয়ে রূপচর্চা

৪. বেসন ও মুসুর ডাল: প্রাকৃতিক স্ক্রাব ও ক্লিনজার

বেসন ও মুসুর ডাল ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বক টানটান করে ও বয়সের ছাপ দূর করে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন?

২ চামচ বেসন ও ১ চামচ মুসুর ডাল বাটা মিশিয়ে নিন।

এতে অল্প দই বা দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।

মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর হালকা ঘষে ধুয়ে ফেলুন।

সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করুন উজ্জ্বল ও টানটান ত্বকের জন্য।

গোলাপজল দিয়ে রূপচর্চা

৫. গোলাপ জল: ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স বজায় রাখে

গোলাপ জল ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি প্রাকৃতিক টোনার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।

ব্যবহার পদ্ধতি:

একটি তুলোর বল গোলাপ জলে ভিজিয়ে মুখে লাগান।

এটি প্রতিদিন ব্যবহার করুন, বিশেষ করে ঘুমানোর আগে।

ত্বক সতেজ ও উজ্জ্বল দেখাবে।

উপসংহার

প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিলে কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার ছাড়াই স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া সম্ভব। ঘরোয়া এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে মাত্র ৭ দিনেই ত্বকের পরিবর্তন দেখতে পাবেন!

আপনার ত্বকের জন্য কোন ঘরোয়া টোটকাটি সবচেয়ে বেশি কার্যকর মনে হয়? কমেন্টে জানান!


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.