Fight against Covid-19 |
আবার কোন কোন দেশ লকডাউন বন্ধ
করে ‘Herd
Immunity’ এর দিকে চলছে। ইতিমধ্যে আবার ৩২টি দেশের ২৯৩ জন বিজ্ঞানী বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থা-কে একটি খোলা চিঠি দিয়ে দাবি করেছেন যে, কেবলমাত্র
ড্রপলেটস্ এর মাধ্যমেই নয়, বাতাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে করোনা
ভাইরাস। পরবর্তীকালে গবেষকদের এই তথ্য খতিয়ে দেখার পর তাদের ধারণাকে স্বীকৃতি
দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যার ফলে আরও চিন্তিত হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা ভাইরাস রুখতে সচেতনতাই সব থেকে জরুরি।
কারণ, কোভিড-১৯ কে অবহেলা করলে কী মারাত্মক ফল হতে পারে, তা
চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ইতালি, আমেরিকা। তাই এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে
করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষেত্রে চার মূল চাবিকাঠির অত্যন্ত প্রয়োজন বলে
নিজস্ব মত প্রকাশ করছেন বহু চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ। তাহলে জেনে নিন এই চার মূল
চাবিকাঠি বলতে আসলে কী কী।
Mask | healthylife |
নোভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে মাস্ক
অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। চিকিৎসকদের মতে, বাড়ির বাইরে পা রাখলে মাস্ক পরতেই
হবে। তবে শুধুমাত্র পরলেই হবে না, সঠিক নিয়ম মেনেই তা পরতে হবে। পরার
সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে নাক ও মুখ ঢেকে থাকে। আর এই মাস্কটি যেন হয় থ্রি
লেয়ারের। বাইরে পরার পাশাপাশি বাড়িতে যদি কোনও অসুস্থ মানুষ থেকে থাকেন, তবে
তাঁর কাছে যাওয়ার আগেও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন,
মাস্ক
পরার পর তা সঠিক নিয়ম মেনে পরিষ্কার করতে হবে। কোনও ভাবেই একটি মাস্ক একদিনের বেশি
পরিষ্কার না করে পরা চলবে না।
Social distance | healthylife |
মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স
বা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা আবশ্যক। এক ব্যক্তির থেকে আরেক ব্যক্তির মধ্যে কমপক্ষে
ছয় ফুটের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এরই সাথে, এক জায়গায়
অনেকে মিলে জড়ো হবেন না। ভিড় জায়গা সর্বদাই এড়িয়ে চলবেন। খুব প্রয়োজন ছাড়া
বাড়ির বাইরে বেরোনো বন্ধ করতে হবে।
Hand wash | healthylife |
৩) হাত ধোওয়া বা স্যানিটাইজ করা
করোনা ভাইরাস রুখতে মাস্ক পরার পাশাপাশি
বিশেষজ্ঞরা হাত ধোওয়ার উপরও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সঠিকভাবে
হাত ধুলে বা স্যানিটাইজ করলে সংক্রমণ অনেকটাই রুখে দেওয়া যাবে। তাই বারবার হাত
ধোওয়ার উপর জোর দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাইরের থেকে ফিরলে, খাবারের
আগে এমনকী কর্মক্ষেত্রে থাকাকালীনও ঘন ঘন হাত স্যানিটাইজ করার উপদেশ দিচ্ছেন
বিশেষজ্ঞরা। হাত না ধুয়ে কোনও অবস্থাতেই টি জোন অর্থাৎ চোখে, মুখে
ও নাকে হাত না দেওয়ার দিকেও বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে।
Immunity | healthylife |
৪) রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা
বিশেষজ্ঞদের মতে, যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত বেশি, তার করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা ততই সহজ। তাই এই সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে বিশেষ নজর দেওয়া দরকার। এছাড়াও মেনে চলতে হবে ব্যক্তিগত পরিছন্নতা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সুষম আহার অর্থাৎ ভিটামিন, মিনারেলস্, প্রোটিন ও ফ্যাট যুক্ত খাবার খেতে হবে। কালিজিরা, মধু, গ্রীন-টি, তুলসি-টি, লেবু, আমলকী খান প্রতিদিন। রোদে যেতে না পারলে ‘ভিটামিন ডি’ ক্যাপসুল খেতে হবে। দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকা, শরীরচর্চা, সময় অনুযায়ী ঘুমোনো ইত্যাদি মেনে চলুন। যাদের ডায়াবেটিস, হাঁপানি COPD আছে তারা তা নিয়ন্ত্রণে রাখুন। শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন(এক ধরনের প্রায়ানাম)। ভিডিও দেখে শিখে নিন। আপনি ভাল থাকুন, বাংলাদেশ ভাল থাকুক।
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন