ব্যায়াম করার সঠিক নিয়ম ও সময় কখন ?
কথায় আছে শরীর ফিট তো আপনি হিট' আর সেজন্যই শরীরকে নিয়মিত ফিট রাখতে দরকার নিয়মিত শরীরচর্চার। সুস্থ ও সুন্দরভাবে জীবনযাপনের জন্য নিয়মিত ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই। তবে এই শরীরচর্চা বা ব্যায়াম যখন তখন করা উচিত না,শরীর সুন্দর ভাবে ঠিক রাখতে অবশ্যই সঠিক এবং উপযুক্ত সময়ে শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করা উচিত। তাই কখন ব্যায়াম করবেন সে বিষয়ে জেনে রাখা ভাল। পৃথিবীর যেকোন বিশেষজ্ঞ বা ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আপনাকে শরীর সুস্থ রাখতে ব্যায়াম করা জরুরি বা অবশ্যম্ভাবী বলেই আখ্যায়িত করবেন। এক কথায় এর কোন বিকল্প নেই বললেই চলে। তবে হরহামেশাই ব্যায়াম বা শরীরচর্চার নিয়ম এবং উপযুক্ত সময় নিয়ে অনেকেই বিপাকে পড়েন। অনেকেই হয়তো ইচ্ছা থাকলেও যথাযথ সময়ে ঘুম থেকে উঠতে পারেন না। তাই শরীরচর্চা করতে পারেন না। আবার যখন সময় পান তখন ব্যায়াম করা ঠিক হবে কিনা তা বুঝে উঠতে পারেন না। কোন সময় ব্যায়াম করবেন বা কোন সময় ব্যায়াম করা ভালো এবং ব্যায়াম করার সঠিক নিয়ম ভালো করে জেনে রাখা উচিত।![]() |
৪৮ টি ব্যায়াম | Healthylife |
ছবিতে ৪৮ টি ব্যায়াম দেখানো হল।
ব্যায়াম করার সঠিক সময়
দীর্ঘ রাত্রি গভীর ঘুমের পর সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম করা যেতে পারে। দীর্ঘ সময় ঘুমের পর সকালের ব্যায়াম সারাদিন আপনাকে ফুরফুরে রাখতে অনেকটাই সাহায্য করবে।এছাড়া সকালে ব্যায়াম করা সম্ভব না হলে সন্ধ্যার আগে ঠিক বিকেল বেলা ব্যায়াম করার জন্য উপযুক্ত সময়। যেহেতু ব্যায়াম করলে শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় চর্বি জাতীয় পদার্থ এবং ঘাম ঝরে তাই নরম আবহাওয়াতে ব্যায়াম করা ভালো।
ভর দুপুর বেলা অতিরিক্ত গরমে ব্যায়াম না করাই ভালো, এ সময়ে সহজেই শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তাপমাত্রা বেশী থাকে, তাই এ সময় ব্যায়াম না করাই ভালো।
যারা মোটামুটি সারাদিন অবসরে থাকেন বা বাড়িতে অবসর সময় কাটান তারা চাইলেই যেকোনো সময় ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করতে পারেন নিজের সুবিধামত।
যারা চাকুরীজীবী বা ব্যস্ত বা নিয়মিত রুটিন সিডিউল এর কারণে সারা দিন সময় করে উঠতে পারেন না, তারা চাইলে রাতে ব্যায়াম করতে পারেন। এতে কোন সমস্যা নেই। তবে রাত ৯ টার আগে করাই ভাল।
ব্যায়াম করার সময়ে অনেক বেশি পরিমাণে খাওয়া একদম ঠিক না, তাই যখন ব্যায়াম করবেন তখন কিছু হালকা খাবার যেমন একটি বিস্কিট এবং ১টি কলা খেয়ে ব্যায়াম করতে পারেন।
যারা সকালে ব্যায়াম করেন তাদের অনেকেই আছেন যারা সকালে ব্যায়াম শেষে পর পর ভরপেট খেতেই থাকেন এতে ব্যায়াম করে যতটুকু উপকারিতা তার সবটুকু নষ্ট হয়।
বেশি দিনের জন্য কোথাও ঘুরাঘুরি করতে গেলে সুযোগ মতো টুকটাক ব্যায়াম করা চালিয়ে যাওয়া উচিত।
ভর দুপুর বেলা অতিরিক্ত গরমে ব্যায়াম না করাই ভালো, এ সময়ে সহজেই শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তাপমাত্রা বেশী থাকে, তাই এ সময় ব্যায়াম না করাই ভালো।
যারা মোটামুটি সারাদিন অবসরে থাকেন বা বাড়িতে অবসর সময় কাটান তারা চাইলেই যেকোনো সময় ব্যায়াম বা শরীরচর্চা করতে পারেন নিজের সুবিধামত।
যারা চাকুরীজীবী বা ব্যস্ত বা নিয়মিত রুটিন সিডিউল এর কারণে সারা দিন সময় করে উঠতে পারেন না, তারা চাইলে রাতে ব্যায়াম করতে পারেন। এতে কোন সমস্যা নেই। তবে রাত ৯ টার আগে করাই ভাল।
ব্যায়াম করার সময়ে অনেক বেশি পরিমাণে খাওয়া একদম ঠিক না, তাই যখন ব্যায়াম করবেন তখন কিছু হালকা খাবার যেমন একটি বিস্কিট এবং ১টি কলা খেয়ে ব্যায়াম করতে পারেন।
যারা সকালে ব্যায়াম করেন তাদের অনেকেই আছেন যারা সকালে ব্যায়াম শেষে পর পর ভরপেট খেতেই থাকেন এতে ব্যায়াম করে যতটুকু উপকারিতা তার সবটুকু নষ্ট হয়।
বেশি দিনের জন্য কোথাও ঘুরাঘুরি করতে গেলে সুযোগ মতো টুকটাক ব্যায়াম করা চালিয়ে যাওয়া উচিত।
ব্যায়াম করার সঠিক নিয়ম
ব্যায়াম করার সঠিক নিয়ম মানতে গেলে কয়েকটি মূল বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখতে হবে। নিচের নিয়মগুলি মেনে চললে আপনি সঠিকভাবে ব্যায়াম করতে পারবেন:
১. ওয়ার্ম-আপ এবং কুল-ডাউন: ব্যায়ামের শুরুতে ওয়ার্ম-আপ এবং শেষে কুল-ডাউন করতে হবে। এটি শরীরের পেশীগুলিকে প্রস্তুত করে এবং ইনজুরি রোধ করে।
২. সঠিক ফর্ম এবং টেকনিক: ব্যায়াম করার সময় সঠিক ফর্ম এবং টেকনিক মেনে চলা খুবই জরুরী । ভুলভাবে ব্যায়াম করলে ইনজুরি হতে পারে।
৩. ব্যায়ামের ধারাবাহিকতা: নিয়মিত ব্যায়াম করা জরুরি। কয়েকদিন করলাম তারপার লম্বা বিরতি দিলাম এমন করলে হবে না। সপ্তাহে অন্তত ৩-৫ দিন ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।
৪. বিভিন্নতা: বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত করুন। যেমন, কার্ডিও, ফ্লেক্সিবিলিটি এবং ব্যালেন্স এক্সারসাইজ। বয়স বেশি বা খুব অল্প বয়স না হলে ভারোত্তোলন ব্যায়াম করতে পারেন।
৫. হাইড্রেশন: ব্যায়াম করার সময ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়। তাই পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি। ব্যায়ামের পরে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ব্যায়াম করার ঠিক আগে বা ব্যায়াম করার ঠিক পরপরই বেশি পরিমাণে পানি খাওয়া একদমই ঠিক না। ব্যায়াম এর পর কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে তারপর পানি খেতে হয়।
৬. পুষ্টি: সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা প্রয়োজন। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন। প্রতিদিন অন্তত একপ্রকার ফল খান। খাবারে লেবু, সালাদ যোগ করুন। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা থেকে যতটুকু পারেন মিষ্টি, কোমল পানীয়, ফাস্টফুড ইত্যাদি খাবার বাদ দিন। কারণ এসব খাবার খেলে আপনার ব্যায়াম এর কোনো উপকারিতা আপনি বুঝতে বা দেখতে পাবেন না, সবটাই বৃথা হবে।
৭. পর্যাপ্ত বিশ্রাম: শুধু ব্যায়াম করলেই হবে না পাশাপাশি বিশ্রামও খুব গুরুত্বপূর্ণ। শরীরের পুর্নগঠন ও বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম জরুরি। ব্যায়ামের পরে পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম নিন।
৮. সঠিক পরামর্শ: বিশেষ করে নতুনদের জন্য প্রশিক্ষক বা কোচের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ। এতে সঠিক নির্দেশনা এবং গাইডেন্স পাওয়া যাবে। এমন অনেক ব্যায়াম আছে যা প্রশিক্ষক ছাড়া করলে বিপদ হতে পারে।
সবশেষে এটুকুই বলতে চাই সুস্থ দেহ ও সুন্দর মনই হল সুখী জীবন। তাই সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হন নিজের জীবনটাকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলুন।
1 টি মন্তব্য
Exercise is good for health, no doubt
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন